মালয়েশিয়ায় জাল ভিসায় বাংলাদেশী সহ প্রায় ২২ হাজার প্রবাসী গ্রেফতার- সকলকে দেশে পাঠিয়ে দিবে

বৈধভাবে ভিসা পেতে টাকা দিয়ে জাল ভিসা নিয়ে প্র’তার’ণার শি’কার হয়ে বাংলাদেশীসহ বিভিন্ন দেশের ২১ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেফতার হয়েছে এশিয়া মহাদেশের অন্যমত উন্নত দেশ মালয়েশিয়ায়।

বুধবার (৬ এপ্রিল) দেশটির দু’র্নী’তি দমন কমিশনের ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইমিগ্রেশন বিভাগের প্রধান দাতো খায়রুল দাজাইমি দাউদ এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, দেশটির বিভিন্ন আ’ইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে আট’কদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল,জাল ভিসা ব্যাবহার। যার কারণে ২০২০ সালে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের ২১ হাজার ৩শত ৭৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জাল ভিসা তৈরিতে জড়িত ৫ টি গ্ৰুফসহ দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও গ্ৰেফতার করা হয়েছে। জাল ভিসা তৈরিতে জড়িত গ্রেফতারের মধ্য উল্লেখযোগ্য ছিল বাংলাদেশি নাগরিক।

তাদের শনাক্তকরে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর জড়িত স্ব স্ব দেশের নাগরিকদের মালয়েশিয়া থেকে কালো তালিকাভুক্ত করে বহিষ্কার করা হবে বলে জানান ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক দাতুক খায়রুল দাযাইমি দাউদ।

তিনি আরো বলেন, আমরা বিদেশি শ্রমিকরা যাতে প্রতারিত না হয়, সেই জন্য জাল ভিসা তৈরিতে জ’ড়িত সিন্ডিকেটদের গ্রেফতার করতে মাঠে নামি। যার ফলে দেশটির আ’ইনশৃঙ্খ’লা বাহিনীর সদস্যরা ছাড়াও বিদেশি সিন্ডিকেটদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

তিনি বলেন, জাল ভিসার দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের ব্যবস্থা হিসাবে, সরকার ১৫ বছরেরও বেশি পুরানো মাইআইএমএস প্রতিস্থাপনের জন্য এনআইআইএসই নামে পরিচিত একটি নতুন সিস্টেমের তৈরির অনুমোদন দিয়েছে। নতুন সিস্টেম ইতিমধ্যে ক্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে, নতুন এই সিস্টেমটি তৈরির প্রথম পর্ব চলতি মাসে শুরু হবে।

তবে এটি পূর্ণাঙ্গভাবে আসতে এক বছর সময় নেবে। আমরা নিশ্চিত যে, নতুন সিস্টেম হ্যাকিংয়ের সমস্যা সমাধান করতে পারে বলে তিনি জানান।

মালয়েশিয়ায় জাল ভিসা নিয়ে গ্রেফতারের শিকার খুলনার আবু সাঈদ জানান, আমি বাংলাদেশি এজেন্টের কাছে টাকা দিয়ে ভিসা সংগ্রহ করি। আমি জানতাম না যে আমার ভিসা জাল। যার কারণে দেশটিতে আমাকে জেল খেটে দেশে ফিরে আসি।